উন্মুক্ত ছাদে কোনো ধরনের ছাওনি ব্যতীত ঘুমানো নিষিদ্ধ। এতে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
উন্মুক্ত ছাদে ঘুমানোর প্রবণতা আমাদের দেশে প্রচুর রয়েছে। বিশেষ করে বাসায় যখন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তখন উন্মুক্ত ছাদ হয় আমাদের বিছানা। কেননা, অনুষ্ঠানের সময় বাসায় লোক সমাগম বেশি হয়ে থাকে। তাদেরকে এক বাসায় জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না। এ কারণেই সবাই উন্মুক্ত ছাদে রাত্রিযাপনের ইচ্ছে পোষণ করে। অথবা খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করে।
ছাদে কিংবা খোলা আকাশের নিচে ঘুমানোর বিষয় নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে, কোনো ধরনের ছাউনি ব্যতীত ছাদের উপর কিংবা খোলা আকাশের নিচে ঘুমানো ঠিক নয়। এভাবে খোলা আকাশের নিচে ঘুমানো বিপজ্জনক। যেকোনো সময় যেকোনো বিপদ আসতে পারে।
সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে আল্লাহ তা’আলাই আমাদের রক্ষা করেন। কিন্তু উন্মুক্ত ছাদে অথবা খোলা আকাশের নিচে ঘুমানোর মাধ্যমে যদি কোনো বিপদ-আপদ আরোপিত হয়, তখন সেখানে আল্লাহ তা’আলার কোনো ধরনের জিম্মা থাকে না। অর্থাৎ, আল্লাহ তা’আলার জিম্মা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। যেকোনো সময় যেকোনো বিপদ আরোপিত হতে পারে।
এই ব্যাপারে হাদীসে বর্ণিত আছে,
«مَنْ بَاتَ عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ لَيْسَ عَلَيْهِ حِجَابٌ فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ»
❛ কেউ বেষ্টনীবিহীন ছাদে রাতে ঘুমালে (এবং কোন দুর্ঘটনা ঘটলে) তার সম্পর্কে (আল্লাহর) কোন যিম্মাদারী নাই। ❜
অর্থাৎ, যে ব্যক্তি ছাদের উপর কোন ধরনের পর্দা ব্যতীত খোলা আকাশের নিচে ঘুমায়, যদি কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে এতে আল্লাহর কোনো যিম্মা নেই। অর্থাৎ সে আল্লাহ তা’আলার যিম্মা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। যেকোনো ধরনের বিপদ-আপদ তার ওপর আরোপিত হতে পারে।
[ শিক্ষণীয় বিষয় ]
…… ১। রাতে উন্মুক্ত ছাদের উপর কোন ধরনের পর্দা / বেষ্টনীবিহীন খোলা আকাশের নিচে ঘুমানো নিষেধ।
…… ২। উন্মুক্ত ছাদে নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যাতীত কেউ ঘুমাতে গিয়ে যদি প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তার নিরাপত্তার জিম্মাদারী আল্লাহ্ নিবেন না। কারণ, সে আল্লাহ্র জিম্মা থেকে নিজেকে আগেই মুক্ত করে রেখেছে।
[ করণীয় ]
✔ যদি ছাদে ঘুমানোর একান্তই প্রয়োজন হয়, তাহলে উপরে পর্দা দিয়ে ছাউনি বানিয়ে নিন। যেন ওই পর্দা আপনাকে বেষ্টন করে রাখে।
[ শেষের কথা ]
সুতরাং, এই ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, বিপদ কখনও বার্তা দিয়ে আসে না। যেকোনো সময় আরোপিত হতে পারে। তাই, সবসময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহ্ আমাদের সকলকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেখানো পথে আমল করে জীবন অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। (আমিন)