কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে
( রিযিক বৃদ্ধির উপায় )
এই আয়াতগুলো ইবাদতের গুরুত্বের প্রতি বান্দার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সাথে এটাও পরিষ্কার করে দিচ্ছে, ইবাদত হলো রিজিক ও জীবনোপকরণের চাবিকাঠি। আর জীবিকা অন্বেষণে মাত্রাতিরিক্ত ব্যস্ততাই বান্দার ইবাদতে ত্রুটি সৃষ্টির কারণ। এ থেকেই জীবনের ধ্বংস ও বিপর্যয়ের উৎপত্তি ঘটে। কারণ, সমস্ত সৃষ্টি থেকে পরম অমুখাপেক্ষী সত্তা একমাত্র আল্লাহ। তিনিই সমগ্র বিশ্বজগতের সকল কিছুর রিজিকদাতা। তিনি তাঁর শক্তি ও ক্ষমতায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহই রিজিক দান করেন এবং তিনি অতি প্রবল, মহাপরাক্রান্ত।’ (সূরা আয-যারিয়াত, ৫১ঃ৫৮)
মাতৃগর্ভে থাকতেই সকলের রিজিক লিখে দেওয়া হয়েছে। ইবাদত-বন্দেগী রিজিককে চুম্বকের মতো টানে। এই সত্যের মাঝেই নিহিত আছে আত্মার শান্তি।
তাই অল্প দিনে ধনী হতে চান? এমন একটি চমকপ্রদ বাক্য শুনলে বা দেখলে আমরা থমকে দাঁড়াই। সবাই চাই দ্রুত ধনী হতে। টাকা কামানোর চুরি-বিদ্যা শিখতে চাই। অথচ এই অর্থ-বিত্ত রিযিকের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করে। এর আগে আছে দুনিয়া-আখিরাতের নিরাপত্তা, নেককার জীবনসঙ্গিনী পাওয়া, সুস্থ ও দ্বীনদার সন্তান লাভ করা, রবের নির্ধারিত তাকদীরে সন্তুষ্ট থাকার মত গুরুত্বপূর্ণ অনেক আরো অনেক বিষয়।
আর আমাদের আলোচনা থাকবে রিযিকের সামগ্রিক বিষয়কে ঘিরেই। আলোচনা গুলো তুলে ধরা হবে বিভিন্ন বক্তার লেখনী ও বয়ান থেকে যা নেওয়া হয়েছে কুরআন ও সুন্নাহ থেকে। অর্থ-বিত্তের পাশাপাশি জীবন ধারণের যত কিছুতে বরকত প্রয়োজন হয়, সেই সব কিভাবে আমলের মাধ্যমে অর্জন করা যায় তা এই অধ্যায়ে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হবে ইনশা’আল্লাহ। কুরআন-সুন্নাহ থেকে প্রাপ্ত এবং পূর্বসূরি নেককারদের দ্বারা পরীক্ষিত যে সকল আমল করলে একজন মানুষ তার সামগ্রিকে রিযিকে বরকত দেখতে পাবে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
গ্রন্থকারঃ আনোয়ার দাউদ আন্নাবরাবি
[ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখাগুলো কিছুওটা পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত]