মায়ের অভিশাপ গল্পের
চতুর্থ পাঠ
( মানুষের সম্মান তার রক্তের মতোই পবিত্র )
কারও ব্যাপারে অপবাদ রটানো হলো, আর আপনি কোনো ধরনের দলিল- প্রমাণ ছাড়াই হুট করে তা বিশ্বাস করে ফেললেন—এমন মারাত্মক ভুল যেন কখনো না করেন। মানুষের স্বভাবটাই এমন— সব সময় তারা একে অপরের কুৎসা রটনা করে বেড়ায়। যার খিয়ানত কিংবা গাদ্দারি আপনি নিজে দেখেননি, তার মান-মর্যাদার পেছনে পড়বেন না। অমুক-তমুকের কথায় আপনি একজন সতী নারীর সম্মান নিয়ে টানাটানিতে লেগে যাবেন না। মনে রাখবেন, কেউ মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট, সে যা-ই শোনে তা-ই বলে বেড়ায়।➊
মানুষ তার সুনাম ও সুখ্যাতি নিয়েই বেঁচে থাকে। তাই কারও সুনাম ক্ষুণ্ণ করা তার রক্ত প্রবাহিত করার নামান্তর—এমনকি অপবাদটি আপনার দৃষ্টিতে প্রমাণিত হলেও। মনে রাখবেন, আল্লাহ তাআলা দোষ গোপনকারী; তিনি দোষ গোপন করতে ভালোবাসেন। সুতরাং মানুষের কলঙ্ক ফাঁস করবেন না-হাঁ, একান্তই যদি প্রয়োজন হয় কিংবা এতে যদি কল্যাণ থাকে, তো ভিন্ন কথা। যেমন কেউ আপনার কাছে পরামর্শ চাইল, তার কল্যাণের স্বার্থে আপনি কারও দোষ প্রকাশ করতে পারেন। কেননা আপনি যা জানেন, তা না জানালে সেটি এক ধরনের প্রতারণা হবে।➋
আপনার সত্য গোপন করার কারণে যদি একজন নেককার মেয়ে একজন বদকার পুরুষের হাতে পড়ে কিংবা একজন নেককার পুরুষ একজন বদকার নারীর মুসিবতে পড়ে, তাহলে তো আপনি অপরাধী সাব্যস্ত হবেন। তাই দোষ গোপনের দোহাই দিয়ে বিয়ে-শাদির মতো প্রসঙ্গে আপনি সত্য আড়াল করতে পারেন না।
[ উৎস ]
➊ সহিহু মুসলিমঃ ৫ । হাদিসের মানঃ সহিহ
➋ সুনানু আবি দাউদঃ ৫১২৮। হাদিসের মানঃ সহিহ নিরীক্ষণ চলছে…
»» গল্পে ফিরে যান
»» পঞ্চম পাঠঃ আল্লাহর সঙ্গেই হোক হৃদয়ের যত বন্ধন