তৃতীয় পাঠঃ আপদ-বিপদে সালাত আপনার পরম আশ্রয়

মায়ের অভিশাপ গল্পের
তৃতীয় পাঠ

( আপদ-বিপদে সালাত আপনার পরম আশ্রয় )

মুমিন যখনই মুসিবতে পড়ে, সালাতের আশ্রয় গ্রহণ করে। কেননা সে জানে, জমিনের যাবতীয় সমস্যার সমাধান আসমান থেকেই আসে। জুরাইজ একই সঙ্গে কয়েকটি বিপদের সম্মুখীন হয়, তাকে ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া হয়; অন্যের ছেলেকে তার বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই কঠিন মুহূর্তে তিনি কী করলেন? তিনি বললেন, ‘আমাকে দু’রাকআত সালাত পড়তে দাও।’

তারপর কী ঘটল? আসমান-জমিনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিল। স্বয়ং সেই নবজাতক শিশু একজন শুচিশুভ্র মানুষের পবিত্রতার ঘোষণা করল।

এ প্রেক্ষাপটে খুবাইব বিন আদি (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) -এর কথা বলা যাক। তিনি কুরাইশদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন। তারা যখন তাঁকে হত্যা করতে চাইল, তিনি বললেন, ‘আমাকে সালাত পড়তে দাও।’ কারণ তিনি ভালোভাবেই জানতেন, একজন মানুষ যদি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর কাজটি সম্পাদন করে মৃত্যুবরণ করতে চায়, তবে তার সে কাজটি হবে সালাত।

মানবকুল সর্দার রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখুন না! সালাতের সময় হলে তিনি বিলাল (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) -কে বলতেন :يَا بِلاَلُ أَقِمِ الصَّلاَةَ أَرِحْنَا بِهَا ) ‘হে বিলাল! তুমি সালাতের জন্য ইকামত দিয়ে আমাদের শান্তি প্রদান কর।’ ➊

সালাতের ব্যাপারে আপনি মানুষের মাঝে দুটি দল দেখবেন। একদলের আচরণ দেখে আপনার মনে হবে, তারা যেন বলছে- ‘সালাতের মাধ্যমে আমাদের শান্তি দাও।’

আরেক দলের আচরণ দেখে মনে হবে, তারা বলছে- ‘সালাতের ঝামেলা থেকে আমাদের বাঁচাও।’ এই দুই দলের মাঝে কত বিশাল ফারাক!

 

[ উৎস ]

সুনানু আবি দাউদঃ ৪৯০১। হাদিসের মানঃ সহিহ

 

 


»» গল্পে ফিরে যান
»» চতুর্থ পাঠঃ মানুষের সম্মান তার রক্তের মতোই পবিত্র