প্রথম পাঠঃ আপনার জবান মেরামত করুন

মায়ের অভিশাপ গল্পের
প্রথম পাঠ

( আপনার জবান মেরামত করুন )

কখনো কথায় কথায় নির্ধারিত হয়ে যায় মানুষের ভাগ্য।

তাই সাবধান! সন্তানদের জন্য বদদোয়া করবেন না। কে জানে, হয়তো সেটি দোয়া কবুলের মুহূর্ত!

একবার উমর জনৈক বৃদ্ধকে দেখেন তার হাত পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তিনি জানতে চান, ‘তোমার হাতে কী হয়েছে?’ ‘জাহিলি যুগে আমার পিতা আমাকে বদদোয়া করে বলেছিলেন, “তোমার হাত অবশ হয়ে যাক।” তাই আমার হাতের আজ এই অবস্থা।’ উমর বলেন, ‘এই হলো জাহিলি যুগে পিতার বদদোয়া! এবার চিন্তা করে দেখো, ইসলাম আসার পর পিতার বদদোয়ার কেমন প্রতিক্রিয়া হবে!’

তাই আসুন! আমরা বদদোয়ার পরিবর্তে নেক দোয়ায় অভ্যস্ত হই। ছোট মেয়েটির অসতর্কতায় যে-ই একটি প্লেট মেঝেতে পড়ে ভেঙে গেল; আপনি বলে উঠলেন, ‘আল্লাহ তোর অন্তরকে ভেঙে দিক।’ বলুন তো, সেই মুহূর্তটি যদি দোয়া কবুলের মুহূর্ত হয় আর আপনার দোয়াটি যদি কবুল হয়ে যায়- তখন কী হবে? একটি প্লেট কি আপনার মেয়ের হৃদয়ের সমান হবে? এমন সময় আমরা কেন বলি না, ‘আল্লাহ তোমার অন্তর পরিশুদ্ধ করে দিন।’

ভাই-বোন ঝগড়াঝাঁটি করছে আর মা রেগেমেগে বলে উঠলেন, ‘আল্লাহ তোদের শান্তি দিন।’ ভেবে দেখুন, এই বদদোয়া যদি কবুল হয়ে যায়, তো কী অবস্থাটা হবে?! আল্লাহর শান্তি সহ্য করার সামর্থ্য আমাদের কার আছে? কতই না ভালো হতো, আমরা যদি বলতাম, ‘আল্লাহ তোমাদের অন্তরকে সংশোধন করে দিন।’

চলুন, আমরা নিজেদের বদলাই। এখন থেকে ‘আল্লাহ তোমাকে অন্ধ করে দিক’ না বলে বলি—’আল্লাহ তোমার হৃদয় প্রশস্ত করে দিন।’

‘আল্লাহ তোমার ওপর রাগান্বিত হোক’ না বলে বলি, ‘আল্লাহ তোমাকে হিদায়াত দিন।’

চলুন, সন্তানদের বরবাদ করার পূর্বেই আমরা আমাদের জবানকে মেরামত করি।

 

 


»» গল্পে ফিরে যান
»» দ্বিতীয় পাঠঃ লেজকাটা শেয়াল চায় সব শেয়ালের লেজ কেটে যাক