এটি হাদিস নয়

বানোয়াট হাদিস
(১)


এক বক্তার ওয়াজে শোনা গেল,

“রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুয়াজ্জিন হযরত বেলাল (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) আশহাদু’ ঠিকমত উচ্চারণ করতে পারতেন না। তিনি ( ش ) শীন কে ( س ) সীন পড়তেন। তার এই অশুদ্ধ উচ্চারণে লোকদের আপত্তির কারণে তাকে আযানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তার পরিবর্তে অন্য একজন সহীহ উচ্চারণকারীকে মুয়াজ্জিন বানানো হয়।

এরপর এক দিন অতিবাহিত হলে জিবরীল  (‘আলাইহিস সালাম)  রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে তাশরীফ এনে বললেন, ‘ আজ কি আপনার মসজিদে আযান হয়নি?

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘ হ্যাঁখুব সুন্দর আযান হয়েছে। আগের থেকে ভাল।

জিবরীল  (‘আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘ আগের আযান তো আরশ পর্যন্ত পৌঁছত। কিন্তু আজকের আযান তো আরশ পর্যন্ত পৌঁছেনি। আল্লাহর নিকট বেলালএর সীন উচ্চারণ শীন ধর্তব্য হয়।

শুনে রাখুন, এটি একটি বানানো জাল ও মুখরোচক ভিত্তিহীন ঘটনা। নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাদীসের সাথে এটির সামান্যতম সম্পর্ক নেই।

সহীহ হাদীসের স্পষ্ট বক্তব্য থেকে জানা যায়বেলাল (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) খুব স্পষ্টভাষীউঁচু আওয়াজ এবং সুমিষ্ট স্বরের অধিকারী ছিলেন। এজন্যই তাকে আযান দেওয়ার জন্য মনোনিত করা হয়েছিল। হাদীস পর্যালোচকগণ দৃঢ়ভাবে বলেছেনউল্লেখিত বর্ণনার কোন ভিত্তি নেই।

 

[ উৎস ]