যখনই ইচ্ছা জাগছে, আমরা কেনাকাটা করছি; তাহলে ধৈর্য্য কখন শিখবো?
যখনই একাকি হচ্ছি, অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে পড়ছি; তাহলে তাক্বওয়ার সবক কখন নিবো?
ক্লান্ত হলেই বিশ্রামে চলে যাচ্ছি আমরা; তাহলে প্রতিরোধ কবে শিখবো?
যখনই আমাদের ছাড় দেওয়া হয়, দূরে চলে যায়; তাহলে আর কবে অনুতপ্ত হবো?
আমরা গুনাহে লিপ্ত হয়, ফলে কুরআন তিলাওয়াত ছুটে যায়, নামাজ, তাহাজ্জুদ, এবং আল্লাহ্র ভয়। সাথে সাথে আল্লাহ্র যিকিরও ছুটে যায়। পরে অন্তরের প্রশান্তিও ম্লান হয়ে যায় এবং সময়ের কাঠিন্যতা দেখা দেয়।
আর স্মরণ রাখুন, প্রথমবার হারামে লিপ্ত হয়ে পড়ায় তা আমাদের নিকট সহজলভ্য হয়ে উঠে, অতঃপর সুখকর হয়, পরে তাতে মিষ্টতা আসে, অতঃপর ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি হয়, অতঃপর তা হৃদয়ে বদ্ধমূল করে দেওয়া হয়। এরপর অন্তর আরেক হারামকে অন্বেষণ করতে থাকে।
যদি আমাদের নফস আমাদেরকে গুনাহের নির্দেশ দেয় তাহলে কোমলভাবে তাকে জিজ্ঞেস করো…
বলতো! এই (অবাধ্যতা) উত্তম নাকি… চিরস্থায়ী জান্নাত যা মুত্তাকীদের জন্য প্রতিশ্রুত?
আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করুন এই বলে, “হে আল্লাহ্! আপনার অবাধ্যতা আমাদের কাছে অপছন্দনীয় বানিয়ে দিন এবং আপনার আনুগত্যকে পছন্দনীয় করে তুলুন।” (আমিন)