সাদাকাহ্ গল্পের
চতুর্থ পাঠ
( কোমলতা দাঈ-এর এক অপরিহার্য গুণ )
আমরা যদি মানুষের সঙ্গে সুন্দর ও কোমল আচরণ না করি, তাহলে তারা দ্বীনদার লোকদেরকে কঠোর স্বভাবের মনে করবে আর আমরা তাদের সামনে দ্বীনের একটি সুন্দর নমুনা তুলে ধরতে ব্যর্থ হব। ফলে তারা নাফরমানি থেকে বেরিয়ে আসার প্রেরণা পাবে না। কারণ তারা আমাদের মতো শক্ত হৃদয়ের হতে চাইবে না। আমরা যদি অনুকরণীয় আদর্শ হতে না পারি, তবে লোকদের তিরস্কার করার কোনো অর্থ হয় না। কেননা তারা আমাদের মতো হতে চায় না। তাই শক্ত আচরণ করে আল্লাহর প্রতি মানুষের মনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি করবেন না।
বেনামাজির সঙ্গে নিয়মিত মুসল্লির মুসাফাহা তাকে মসজিদমুখো করতে পারে। পর্দাবৃতা নারীর এক চিলতে মুচকি হাসি, দুয়েকটি মধুর কথা একজন বেপর্দা নারীকে পর্দার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারে। দ্বীনদারের কয়েক মিনিটের সুমিষ্ট আলাপ একজন গুনাহগারকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসতে পারে।
আপনার এই সুন্দর ব্যবহার যদি মানুষের মনে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি নাও করে, তবুও আপনি দাওয়াহর সাওয়াব পেয়ে যাবেন। আলোচ্য গল্পের লোকটিকে দেখুন না, তিনি যখন চোর, ব্যভিচারিণী ও ধনীকে দান করে বসলেন, আল্লাহ তাআলা তাকে বলেননি- তুমি একজন ভালো মানুষকে দান করলে ভালো হতো; একজন পবিত্রা নারীকে দান করলে সুন্দর হতো; একজন গরিবকে দিলে উত্তম হতো। বরং তাকে একটি সুন্দর স্বপ্নের মাধ্যমে সাদাকা কবুলও হওয়ার সুসংবাদ দিলেন। আরও বললেন, ‘সাদাকা পেয়ে ব্যভিচারিণী হয়তো ব্যভিচার ছেড়ে দেবে। চোর হয়তো চুরি ত্যাগ করবে। ধনী লোকটিও হয়তো দান করার প্রেরণা পাবে।‘
»» গল্পে ফিরে যান ««