সাদাকাহ্ গল্পের
দ্বিতীয় পাঠ
( তাদেরকে আল্লাহর পথে নিয়ে আসুন! )
মানুষকে হাত ধরে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় নিয়ে আসুন। ভেবে দেখুন, আল্লাহ তাআলা পথহারা পাপীদের জন্যই তো রাসুল প্রেরণ করেন। সবাই যদি আল্লাহর অনুগত বান্দা হতো, রাসুলের কোনো প্রয়োজনই হতো না। এমনকি চরম পর্যায়ের নাফরমানদের কাছেও আল্লাহ তাআলা রাসুল পাঠিয়ে থাকেন। যে বলেছিলঃ (أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَى) ‘আমিই তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক‘ ➊ তার কাছেও আল্লাহ তাআলা রাসুল প্রেরণ করেছিলেন এবং তার সঙ্গে নম্র আচরণ করার নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেনঃ ( فَقُوۡلَا لَهٗ قَوۡلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهٗ يَتَذَكَّرُ اَوۡ يَخۡشٰى ) ‘তোমরা তার সঙ্গে নম্র কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।‘➋ আর যারা বলেছিল, ‘মূর্তি ও প্রতিমা হলো আল্লাহর কন্যা’- তাদের কাছে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টির সেরা মানুষটিকে পাঠিয়েছিলেন।
সুতরাং আপনি লোকদের পাপের দিকে তাকাবেন না-আপনি তো রব নন। আপনি তাদের দিকে একজন বান্দার দৃষ্টিতে তাকান। হিদায়াতের যে নিয়ামত আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন তার জাকাত হলো, আপনি লোকদেরকে হাত ধরে আল্লাহর পথে নিয়ে আসবেন। তাদের হিদায়াত দেওয়ার শক্তি আপনার কোথায়? আল্লাহই তো বরং আপনার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন-আপনাকে হিদায়াতের অসিলা বানিয়েছেন।
একজন অসুস্থ কিংবা একজন বিপদগ্রস্ত মানুষের দিকে আপনি যে দৃষ্টিতে তাকান, একজন গুনাহগারের দিকেও আপনি একই দৃষ্টিতে তাকান। আরে ভাই! রোগ তো পথভ্রষ্টতার চেয়েও অনেক ভালো। অসুস্থতা অনেক সময় মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ হয়। আর গোমরাহি? গোমরাহি তো মানুষকে চিরদিনের জন্য জাহান্নামের পথে ঠেলে দেয়!
[উৎস]
➊ সুরা আন-নাজিআত, (৭৯ঃ২৪)।
➋ সুরা তহা, (২০ঃ৪৪)
»» তৃতীয় পাঠঃ গুনাহের প্রতি ঘৃণা যেন দাওয়াহ্ -এর প্রতিবন্ধক না হয়