পথের শেষে সূর্য ভাসে,
কেউবা কাঁদে কেউবা হাসে।
হিদায়াতের পথে কাঁটা ফিতনাসরূপ। পথের বাঁকে বাঁকে কাঁটা। এ পথ যত সুদীর্ঘ কাঁটার পরিমাণ তত বেশী। হিদায়াতের পথ বান্দার জন্য অতোটা সুগম নয়।
জাহিলিয়াতের পথ সুগম, দৃষ্টিনন্দন বিষয় দিয়ে ঘেরা। অথচ গন্তব্য? একদম উল্টা। কাঁটার পথের শেষের দিক আর জাহিলিয়াতের পথের শেষের দিক এক নয়।
সাময়িক কাঁটার আঘাত রয়ে সয়ে বান্দা হিদায়াতের পথ ধরে এগিয়ে চললে তার জন্য অপেক্ষা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি আর চরম ও পরম সুখের জান্নাত।
প্রকারান্তরে জাহিলিয়াতের চোরাবালি ধরে এগিয়ে চললে বান্দা শেষ মাথায় গিয়ে আল্লাহর রোষানল দেখতে পায়। সুগম পথে গমন করেও বান্দা জাহান্নামের অসহনীয় আযাবে নিপতিত হয়। বান্দার নগদ বুঝ তখন পুরোদস্তুর ভেস্তে যায়।
চোখের সামনে রাগে ক্ষোভে ফুলতে থাকা জাহান্নামকে দেখে বান্দা আফসোস করে ফিরে আসতে চায়। সে আকুতি মিনতি জানিয়ে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিন, নিশ্চয়ই আমি বিশ্বাসী হয়ে গেছি”। বান্দা ভুলে যায় সেদিন ফিক্কির আর ফরিয়াদের দিবস নয়, সেদিন তো বিচার দিবস।
লেখকঃ রাজিব হাসান