একূল-ওকুল দু’কুল হারায়
দুনিয়ার রঙ্গমঞ্চ সাজাতে কত কিছু লাগে। টাকা লাগে, বাড়ি লাগে, গাড়ি লাগে, পোশাক-আশাক লাগে, আসবাব লাগে, ফার্নিচার লাগে, প্রসাধনী লাগে, টেকনোলজি লাগে, বিনোদন লাগে এত এত লাগে।
অথচ যে জীবনটা অনন্তকালের সেই কবরের জীবনটা সাজাতে এত কিছু লাগে না। তোমার রব কে? তোমার দ্বীন কী ছিল? আর এই মানুষটাকে চিনতে পার কী না? মাত্র এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর লাগে।
সলাতে সামনের কাতারে বান্দা আরেকজনকে জোর করে ঠেলে দেয়, অথচ দুনিয়াবী লোভ-লালসায় বান্দা সবাইকে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আসল আর নকল চেনার মত কষ্টিপাথর তার কাছে থাকে না।
বান্দার চোখের সামনে কাছের কত লোকই কবরে চলে যায়, তার সম্পত্তি, টাকা পয়সা, বাড়ী-গাড়ির জন্য আফসোস করে, দু’দিন বাদেই ভুলে যায়। চোখের সামনে দুনিয়ার মঞ্চ টাঙানো থাকলে কবরের জীবনটা পর্দায় ঢাকা পড়ে যায়।
সত্য বলতে, দুনিয়ার মত নিষ্ঠুরতম বন্ধু আর নাই। গাছে তুলে দিয়ে সে মই নিয়ে পালায়। এত এত লোভ দেখিয়ে বান্দাকে একদিন লাথি দিয়ে কবরে শুইয়ে দেয়, ওদিকে কবরও তার ঝাল মিটায়, বান্দা একূল-ওকুল দু’কুল হারায়।
লেখকঃ রাজিব হাসান