সঙ্গদোষে লোহা ভাসে

সঙ্গদোষে লোহা ভাসে

সঙ্গদোষে লোহা ভাসে অর্থাৎ কারো সুহবতে থাকলে মানুষ ধীরে ধীরে তার আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে উঠে। লোহা যেমন কারো সঙ্গে থাকতে থাকতে ভাসতে শিখে, ডুবে যাওয়ার নিজস্ব স্বকীয়তাকে ভুলে যায়, মানুষও ঠিক সুহবতের তাড়নায় তার নিজস্বতা হারায়। মানুষ তার বন্ধুস্বভাবী হয়, নেক বন্ধু আতরের সুভাস ছড়ায় আর বদ বন্ধু কামারের হাঁফরের দুর্গন্ধ ছড়ায়। দুর্গন্ধের পাশ দিয়ে চলাচল করলে এক পর্যায়ে আর গন্ধই অনুভূত হয় না। ততদিনে বান্দা তার বন্ধুর মত হয়ে যায়, এখন আর তার আতরের গন্ধ ভাল লাগেনা, ভাল লাগে ঐ পরিচিত হাঁপড়ের গন্ধ। হক্ক-বাতিল, সত্য- মিথ্যা আলাদা করার ক্ষমতা তার আর থাকে না।

বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক না হলে হাশরের মাঠে একে অন্যকে দোষারোপ করতে করতে বলতে থাকবে, “হায়! আমি যদি তোকে বন্ধু না বানাতাম”। সেদিনের সেই আহাজারি শুধু আফসোসই বাড়াবে, আর নেক বন্ধুরা কাঁধে কাঁধ রেখে সদলবলে জান্নাতে প্রবেশ করবে।