তাক্বদীরের উপর ঈমান
“ইশ! আমি যদি এটা না করতাম তাহলে এমনটি হতো না” – এ এধরনের কথা বলে বান্দা তার তাক্বদীরকে অস্বীকার করে। তার উপর যেন কোন খারাবী আসতেই পারেনা। সে নিজেকে বিপদ-আপদ, দুঃখ-কষ্ট, ব্যাথা- বেদনার উর্ধ্বে ভাবতে শুরু করে। সে ভুলে যায় তার উর্ধ্বেও একজন সুমহান রব আছেন। তিনিই বান্দার ভাগ্যের ভালো-মন্দের ফায়সালা করেন।
বান্দা ঈমানের এই সহজ পাঠে বারবার খেই হারিয়ে ফেলে। সে ট্রেন মিস করলে আফসোস করে বলে, বাসে না গিয়ে সিএঞ্জিতে গেলে ট্রেন মিস করতাম না; সে অসুস্থ হলে ভ্রু-কুচকে বলে, অমুক ডাক্তারকে না দেখালে ভাল হয়ে যেতাম; তার সন্তান না হলে দোষ দিয়ে বলে, তোমাকে যদি আমি বিয়ে না করতাম।
শাইত্বন বান্দার এই সমস্ত “যদি” “ইশ” “এমন না করতাম” কথায় বেশ খুশি হয়। সে খুশিতে হতাশার সাগর নিয়ে বান্দার সামনে উপস্থিত হয়।
ঈমানে পরিপক্ক বান্দারা এগুলো গায়ে মাখেনা। সর্বাবস্থায় তাক্বদীরের উপর বিশ্বাস রাখে। ঈমানের এই গুরুত্বপূর্ণ পাঠের উপর অটল থাকে। কে জানে ট্রেনটা হয়ত কিছুদুর গিয়েই এক্সিডেন্ট করবে, কে জানে অসুখের কারণে হয়ত তার গুনাহ মাফ হচ্ছে, কে জানে এই সন্তান হয়ত তার ভীষণ কষ্টের কারণে হবে।
মুমিন বান্দা আল্লাহর সকল ফায়সালা মেনে নিয়ে সুখী মানুষের জীবন পার করে। তার চাইতে সুখী মানুষ তল্লাটে আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না।