ঐশ্বী বন্ধন

রক্তের বন্ধনের চাইতে কালেমার বন্ধন দামী এই মর্মবাণী যারা বুঝতে পেরেছে তারাই কামিয়াবী অর্জন করেছে। মুমিনের অন্তরে সর্বাগ্রে দ্বীন ইসলামই ঠাঁই পায়, নিজের প্রাণের চাইতে মুমিন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সবচাইতে ভালবাসে। সে জানে শাহাদাতের সম্পর্কের উর্ধ্বে কোন সম্পর্ক নেই, রক্ত ও আত্মীয়তার সম্পর্ক মাটিতে মিশে যাবে অচিরেই।

মুমিনের রক্ত তো আল্লাহর রাহে বিক্রিত, দ্বিতীয়বার বিক্রির স্থান নেই। মুমিনের কাছে আগে দ্বীন, এরপর বাকী সব। মুমিনের কাছে দ্বীন মূখ্য মা, বাবা, পুত্র, কন্যা, স্বামী, স্ত্রী এসব গৌণ।

  • নবী নূহ (আঃ) স্বীয় পূত্রকে ফেলে এসেছিলেন, রক্তের সম্পর্ক সেদিন শাহাদাতের সম্পর্ককে ম্লান করে দিতে পারেনি।
  • নবী ইব্রাহীম (আঃ) স্বীয় পূত্র ইসমাইল (আঃ) এর গলায় ছুড়ি চালাতে কুণ্ঠিতবোধ করেননি, সেদিনও রক্তের সম্পর্ক শাহাদাতের বন্ধনকে টপকে যেতে পারেনি।
  • নিজের মেয়ে চুরি করলেও হাত কেটে দেওয়ার শাস্তি বহাল থাকার প্রতিশ্রুতি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই শাহাদাতের সম্পর্কের কারণেই দিয়েছিলেন।

আর সেই বন্ধন জমিনের কারোর সাথে নয়, বরং আসমানের মালিকের সাথে, সেই সম্পর্কটির নাম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

 

 


লেখকঃ রাজিব হাসান