পড় তোমার রবের নামে
কাউকে দেখে নয়, কাউকে শুনে নয়, কাউকে অন্ধ অনুকরণ করে অনুসরণ করে নয়, বরং হক্ক যাছাইয়ের উপায় হল “আল্লাহর নামে পড়া”। শুধু শুধু “পড়া” নয় বরং “আল্লাহর নামে পড়া”। এত এত পড়তে গিয়েই তো কেউ তাসলিমা নাসরিন হল, কেউ স্টিফেন হকিং হল, কেউ হুমায়ন আজাদ হল, আবার কেউ আরজ আলী মাতুব্বর হল;
অন্যদিকে আল্লাহর নামে পড়তে গিয়ে কেউ কেউ ঈমাম আবু হানিফা হল, ঈমাম মালিক হল, ঈমাম শাফেঈ হল, আর কেউ ঈমাম আহমদ হল। পার্থক্যটা মানুষ গড়ে, আল্লাহ তা’য়ালা নয়।
তিনিই তো “ইক্করা বিসমি রব্বিকাল্লাজি খালাক্ক” তথা “পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন” সর্বপ্রথম এই আয়াত নাযিলের মাধ্যমে এই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ বান্দা পড়ে ঠিকই কিন্তু আল্লাহর নামে নয়, ফজর সলাত পরিত্যাগ করে বান্দা সাত- সকালে কোচিং আর প্রাইভেটে যায়। নতুন করে তাসলিমা আর হুমায়নদের অপরিপক্ক বীজ গজায়। “রব্বি যিদনী ইলমা” না বলে শাইত্বনিক জ্ঞানের দিকে বান্দা নিজেকে ভাসিয়ে দেয়। হারিয়ে যায় জাহালতে ঘেরা এক বন্দী চিন্তাশক্তির বলয়ে।
লেখকঃ রাজিব হাসান