আমার সন্তান যেন থাকে জান্নাতে

আমার সন্তান যেন থাকে জান্নাতে

দুঃখ-কষ্ট, ব্যাথা-বেদনা বান্দার জন্য এক বিশেষ নিয়ামত। বান্দার অভাব-অনটন নিয়ামত। বান্দার পায়ে সামান্য কাঁটার আঘাত লাগা নিয়ামত। বান্দার কষ্ট বান্দার জন্য বিশেষ এক নিয়ামত।

দুনিয়ার যাবতীয় আঘাত বান্দার জন্য দুইটি উপকার বয়ে আনে

  • এক, বান্দা সবরের সাথে আল্লাহমুখী হয়,
  • দুই, বান্দার গুনাহ মাফ হয়।

সুখ, শান্তি, বিলাসিতা ও আরামের মধ্যে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয়না, অভাব-অনটন দুঃখ কষ্টেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন হয়।

উম্মাহর বিলাসিতা, সুখ, আরামকে নবীজি (সাঃ) ভয় পেতেন। কাজ করতে করতে একমাত্র মেয়ে ফাতিমা (রাঃ) এর হাতে ফোস্কা পড়ে গেলেও তিনি তাকে দাসীর ব্যবস্থা করে দেননি, বরং তার চাইতে উত্তম জিনিস “সুবহানাল্লাহ” পাঠের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে মূসা (আঃ) এই উম্মতের দুনিয়াবী কষ্টের কারণে গুনাহ মাফ হবে দেখে তিনি আল্লাহর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, তিনি যেন তাকে বনী ইসরাঈলের নবী থেকে মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত বানিয়ে দেন। সুবহানাল্লাহ! তারা জানতেন, কোনটায় লাভ আর কোনটায় ক্ষতি।

চিরকালের সুখকে স্বল্পকালের সুখ শান্তির কাছে তারা বিক্রি করে দিতে চাননি। আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে বলে নশ্বর দুনিয়া কিনে দেননি। বরং সবর শিখিয়েছিলেন, আল্লাহ যার বিনিময়ে বান্দাকে জান্নাত দিবেন।