বেলা ফুরাবার আগেই
হিদায়াত লাভের পর বান্দা হিদায়াতের নূর থেকে ছিটকে পড়ে তার নিজের দোষে। বান্দার অন্তরে হিদায়াতের নূর সবসময় স্থায়ী হয় না। বান্দা নেক সূরতে শাইত্বনের ধোঁকা খায়। হক্ক ভেবে ছোট ছোট অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে কখন যেন চোরাবালিতে ডুবে যায়।
বান্দা হিদায়াত লাভের পর আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানায় না। গুনাহর বাজার থেকে তাকে বাছাই করে নেকির বাজারে দাখিল করার জন্য আল্লাহ রব্বুল ইজ্জাহ’র প্রশংসা গায় না। আড়ালে, নিভৃতে চোখের পানি ফেলে “রদিতু বিল্লাহি রব্বাও, ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনাও, ওয়া বি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যান” বলে না। শাইত্বনের মুহুর্মুহু ওয়াস-ওয়াসার মুখে, বান্দা হিদায়াতের উপর অটল থাকার দু’আও করে না। “ইয়া মুক্কল্লিবাল কুলুব, ছাব্বিত ক্বলবি আ’লা দ্বীনিক” বলে আল্লাহর ইখতিয়ারে হিদায়াতের ধারা ন্যস্ত করে দেয় না। নানামুখী ফিতনার প্রভাবে, শোকরিয়া, সবর ও দু’আর অভাবে বান্দা পুনরায় জাহিলিয়াতে ডুবে যায়। নর্দমা থেকে ফুল বাগানে এসে পুনরায় নর্দমায় ফিরে যাওয়া প্রজাপতিকে দেখে আসমান ও জমিনের অধিবাসীরা আফসোস করতে থাকে।