আল্লাহর জন্যই ভালোবাসা,
আল্লাহ্ জন্যই ফেলে আসা
দ্বীন ইসলামের পথে চলতে গেলে, এর বিধিনিষেধ মানতে গেলে, দ্বীনের দাওয়াহ দিতে গেলে অনেক কিছু খোয়াতে হয়। রঙিন একটা জীবন খোয়াতে হয়, কাছের বন্ধু-বান্ধব দূরে ঠেলে দেয়, আত্মীয়-স্বজনের অনেকেই এড়িয়ে চলে, অনেকেই অস্বস্তিবোধ করে, বেশিরভাগই ছিদ্রান্বেষণ করতে লেগে যায় – যাতে করে বান্দার চলমান যাহিদ জীবনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নিজেদের জাহালাতের জীবনকে সমর্থন করা যায়।
নবীজি (ﷺ) এর চাচারা, নিকটাত্মীয়রা, সমাজের লোকেরা তাকে “আলামিন” হিসেবেই মানত, কাউকে বিশ্বাস না করলেও তাকে ঠিকই বিশ্বাস করত। কিন্তু যখনই তিনি নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিলেন, কালেমার দাওয়াহ দিলেন তখন ঐ সমস্ত লোকই তাকে এড়িয়ে চলল, মারধর করল, পাগল, গণক বলে ঠাট্টা বিদ্রূপ করে এলাকা থেকেও বের করে দিল।
দুনিয়াবী লাভ ক্ষতির হিসাব দ্বীনের দ্বা’য়ীদের বিচলিত করে না। তারা জানে তাদের সন্তুষ্টি করতে হবে একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে, সবার চাইতে বেশী ভালবাসতে হবে নবীজি (ﷺ) কে, জীবন চালাতে হবে কুরআনের ও সুন্নাহর আলোকে। যার খুশি কাছে আসুক, যার খুশি দূরে ঠেলুক এগুলি নিয়ে সে ভাবেনা। তার প্রাপ্তি তো আল্লাহর সন্তুষ্টি যার বিনিময় পরম সুখের জান্নাত। সে আমৃত্যু দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে।