প্রত্যেক পিতা-মাতাই তার শিশুর সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন। তারা তাদের জীবদ্দশায় সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলে সুসংহত অবস্থানে নিয়ে যেতে চান। সন্তানদের সুষ্ঠ ভাবে গড়ে তুলার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আর্থিক নিরাপত্তা। সন্তানকে শিক্ষিত সময়োপযোগী করে গড়ে তোলা এবং পিতা মাতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড আপনাদের খেদমতে পেশ করেছে “শিশু নিরাপত্তা বীমা পরিকল্প”। এই পরিকল্পের অধীনে প্রিমিয়ামদাতার একদিকে মেয়াদপূর্তি শেষে বিরাট অংকের অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা রয়েছে আবার অন্যদিকে (আল্লাহ না করুক) মেয়াদকালের মধ্যে প্রিমিয়ামদাতার মৃত্যু ঘটলে বছরে বছরে সন্তানকে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে পিতা-মাতার স্বপ্ন পুরনের আর্থিক নিরাপত্তাও এতে রয়েছে। এই পরিকল্পের অধীনে বীমার পলিসি যৌথভাবে প্রিমিয়ামদাতা ও শিশুর জীবনের উপর গ্রহন করা যায়। শিশুর পিতা অথবা শিক্ষিত ও উপার্জনক্ষম মাতা শিশুর প্রিমিয়ামদাতা হবেন। পলিসি গ্রহনের সময় শিশুর বয়স সর্বোচ্চ ১৫ (পনের) বছর এবং সর্বনিম্ন ৬ (ছয়) মাস এবং মেয়াদপূর্তিকালীন বয়স ১৮ বছরের কম এবং ২৫ বছরের বেশি হবেনা।
১। বীমা চলাকালীন সময়ে প্রিমিয়ামদাতা (আল্লাহ না করলে আর কোন প্রিমিয়াম দিতে হবেনা। সে ক্ষেত্রে শিশুকে (Beneficiary Child) নিম্নোক্ত সুবিধাদি প্রদান করা হয় (ক) যতদিন পর্যন্ত পলিসির মেয়াদ শেষ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত স্টাইপেন্ড (Stipend) হিসেবে বীমা অংকের শকরা ১ ভাগ অর্থ প্রদান যা তিন মাস অন্তর অস্তর প্রদান করা হয়। (খ) মেয়াদ শেষে অর্জিত মুনাফা সহ (লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে) পুরো বীমা অংক প্রদান করা হয়ে থাকে।
২। যদি মেয়াদ পূর্তির পূর্বেই শিশুটি মৃত্যুবরণ করে সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সিডিউল অনুযায়ী প্রিমিয়ামদাতাকে বীমার টাকা প্রদান করা হয়ঃ
সময়কাল | প্রদত্ত সুবিধা |
৬ মাস পর্যন্ত | বীমা অংকের ২৫% |
৬ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত | বীমা অংকের ৫০% |
১২ মাস থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত | বীমা অংকের ৭৫% |
দুই বছরের ঊর্দ্ধে | বীমা অংকের ১০০% |
৩। যদি প্রিমিয়ামদাতা এবং শিশুটি মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত বেঁচে থাকেন মুনাফা সহ (লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে) শিশুকে প্রদান করা হয়ে থাকে।
সে ক্ষেত্রে বীমা অংক অর্জিত
৪। যদি প্রিমিয়ামদাতার মৃত্যুর পর বীমার মেয়াদের মধ্যে বৃত্তি চলাকালীন সময়ে শিশুর মৃত্যু ঘটে সেক্ষেত্রে বৃত্তি প্রদান বন্ধ হবে এবং বীমার মেয়াদ শেষে মুনাফা সহ (লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে) পুরো বীমা অংক ফারায়েজ অনুসারে ওয়ারিশগণকে প্রদান করা হবে। এই বীমায় Sum at Risk এর ভিত্তিতে মেডিক্যেল চাহিদাদি দাখিল করতে হবে। প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়। বীমা দাবীর টাকাও আয়কর মুক্ত। এই পরিকল্পে কোন সহযোগী বীমা গ্রহন করা হয়না। প্রিমিয়াম প্রদেয় প্রিমিয়ামের টাকা বার্ষিক কিস্তিতে অগ্রিম পরিশোধ্য। মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত অথবা
প্রিমিয়াম দাতা বা শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত এই প্রিমিয়ামের টাকা প্রদান করতে হবে।
বিঃ দ্রঃ কেবলমাত্র পুরুষ ও চাকুরীজীবি শিক্ষিত মহিলা এই পরিকল্প গ্রহণ করতে পারবেন। বীমা অংক ২,০০,০০০/= বা তার উর্দ্ধে হলে নিয়মানুযায়ী শিশু বিশেষজ্ঞ কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট অন্যান্য পরীক্ষা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) জমা দিতে হবে।