পরিকল্পনা ০৭ঃ দেনমোহর বীমা (মুনাফাসহ)

দেনমোহর বীমা পরিকল্প মূলত একটি সঞ্চয়ী বীমা পরিকল্প। বর্তমানে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক প্রচলিত এই পরিকল্প বীমাগ্রহীতার অকাল মৃত্যুতে কিংবা নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে কাঙ্খিত অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত করে। মহান আল্লাহপাক নির্দেশিত মুসলমানদের ফরজ কার্যাবলীর মধ্যে বিবাহ করা অথবা করানো একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আল্লাহপাক হুকুম করেছেন যে, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধের সময় পুরুষেরা যেন স্ত্রীদের হক আদায় করে অর্থাৎ মোহরানা পরিশোধ করেন। বিবাহকালে পিতা অথবা অভিভাবক আল্লাহর হুকুম মোহরানা নগদ দেয়ার পরিবর্তে বাকীতে লিপিবদ্ধ করায়। কিন্তু মোহরানা উসুল করা অবশ্যই পালনীয়। অথচ পরবর্তীতে এর বেশির ভাগই উসুল করা অবশ্যই পালনীয়। অথচ পরবর্তীতে এর বেশির ভাগই উসুল করা হয়না। মোহরানা আদায় না করা পর্যন্ত কেবলমাত্র বিবাহকারী নয়, মুরুব্বীগনও এই কবীরা গুনাহ হতে পরিত্রাণ পাবেন না। মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড মোহরানা পরিশোধের মাধ্যমে ও কবীরাহ গুনাহ হতে পরিত্রানের জন্য প্রণয়ন করেছে “দেনমোহর বীমা পরিকল্প”। এই পরিকল্পে গ্রাহক অবশ্যই পুরুষ হতে হবে এবং তার স্ত্রী হবেন এই বীমার একমাত্র মনোনীতক ও সুবিধাভোগী।

কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বেঁচে থাকলে মেয়াদ শেষে অর্জিত লাভসহ বীমাকৃত অংক অর্থাৎ বীমার পুরো টাকা দেয়া হয়। এই অর্থ মোহরানা পরিশোধে সহায়তা করে। তাছাড়া বীমার মনোনীতক (স্ত্রী) এ অর্থ দিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারেন।

মেয়াদপূর্তির পূর্বে কোন কারণে বীমা গ্রহীতার অনাকাঙ্খিত (আল্লাহ না করুক) মৃত্যু হলে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত জমাকৃত (ব্যক্তিগত আমানত পি.এ হিসাবে) পুরো অর্থ লাভসহ তার মনোনীতককে প্রদান করা হয়। এছাড়া বীমার গ্রহীতা বেঁচে থাকলে মেয়াদের অবশিষ্ট সময়ে তিনি যে পরিমাণ অর্থ প্রিমিয়াম হিসাবে জমা করতেন তার সমপরিমাণ অর্থ পিএসএ/তাবারুক ফান্ড থেকে মনোনীতক (স্ত্রীর) আর্থিক অস্বচ্ছলতা কাটিয়ে তুলতে বিশেষ অবদান রাখবে। এই পরিকল্পে বীমার মেয়াদ ১০ থেকে ২০ বছর। বীমা অংকের পরিমাণ হবে কমপক্ষে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা।

অন্ততঃ দু’বছর প্রিমিয়াম জমা দেয়ার পর পলিসি হ্রাসকৃত বীমা অংকে রুপান্তরিত বীমার সুবিধা ও সমর্পন মূল্য অর্জন করে। প্রয়োজনে সমর্পন মূল্যের সর্বোচ্চ ৯০% বিনিয়োগ হিসাবে গ্রহণ করা যায়। যা দিয়ে মেয়াদপূর্তির পূর্বে বীমা গ্রহীতা ইচ্ছা করলে মোহরানার আংশিক দাবী পরিশোধ করতে পারেন। সম্পাদিত বীমা অংকের উপর প্রতি বছর আকর্ষনীয় হারে মুনাফা যোগ করা হয়। দু’বছর পর প্রিমিয়াম প্রদান বন্ধ হয়ে গেলেও সম্পাদিত বীমা মুনাফা অর্জন করতে থাকে। দাবী পরিশোধের সময় মূল বীমা অংক ও অর্জিত মুনাফাসহ পরিশোধ করা হয়।

প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়। বীমা দাবীর টাকাও আয়কর মুক্ত।