কল্যাণকর ইলম শিক্ষা দেওয়া।

বিষয়ঃ কল্যাণকর ইলম শিক্ষা দেওয়া।
নবী ও রাসূল হিসেবে হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে কয়টি মৌলিক দায়িত্ব ছিল, সেসবের মধ্যে অন্যতম- মানুষকে কুরআনের শিক্ষা প্রদান করা। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরবর্তীতে যখন কেউ তাঁর দায়িত্ব আঞ্জাম দেবে, সে তো শ্রেষ্ঠ হবেই। অন্য কথায়, যিনি প্রথমে কুরআনের শিক্ষার্থী হয়েছেন, এরপর কুরআনের শিক্ষক হয়েছেন, তিনি শ্রেষ্ঠ মানুষ।
শিক্ষকদের গুরুত্ব ও মর্যাদা এমনিতেই অতুলনীয়। আর সে শিক্ষা যদি হয় দ্বীন ও ইসলামের, আল্লাহ ও পরকালের, তাহলে তো সোনায় সোহাগা! হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষকদের মর্যাদা এভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন-
إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ وَأَهْلَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ حَتَّى النَّمْلَةَ فِي جُحْرِهَا وَحَتَّى الْحُوتَ لَيُصَلُّونَ عَلَى مُعَلِّمِ النَّاسِ الْخَيْرَ
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাকুল, আসমান-যমীনের অধিবাসীরা, এমনকি গর্তের পিপড়া এবং পানির মাছ পর্যন্ত সেই ব্যক্তির জন্যে দুআ করে, যে মানুষকে কল্যাণকর ইলম শিক্ষা দেয়। (জামে তিরমিযী, হাদীস ২৬৮৫)

আর এ শিক্ষক যদি সরাসরি কুরআনের ও হাদীসের শিক্ষক হন! কুরআনের ছোঁয়া তো যেখানেই লেগেছে, তা-ই মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বে অনুপম হয়ে আছে। আর সুন্নাহ অনুযায়ী তার আমল ও জীবন হয়, তাহলে আল্লাহর নিকট তার মর্যাদা অনেক উচুঁ।

উপরের হাদিস এটাই প্রমাণ করে যারা কল্যাণকর ইলম অর্থাৎ কুরআন আর হাদিসের শিক্ষা দান করেন, আল্লাহ তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন। আর তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দুআ করতে থাকে হাদীসে উল্লেখিত সকলে।